যোবায়ের দুর্গ জয়রাতের বেলা তারা এসে পানি পান করে এবং সারাদিনের প্রয়োজনীয় পানি তুলে নিয়ে যায়। আপনি যদি তাদের পানি বন্ধ করে দিতে পারেন, তবে তারা নত হবে। এ খবর পেয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওদের পানি বন্ধ করে...
সায়াব ইবনে মোয়ায দূর্গ জয়রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ খবর পাওয়ার পর পালিত গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেন।যোবায়ের দুর্গ জয়নায়েম এবং ছাবা দুর্গ জয়ের পর ইহুদীরা নাজাতের সকল দুর্গ থেকে বেরিয়ে যোবায়ের দুর্গে সমবেত হয়। এটি ছিলো একটি নিরাপদ...
সায়াব ইবনে মোয়ায দূর্গ জয়আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ছা’ব ইবনে মায়া’য দুর্গ জয়ের গৌরব মুসলমানদের দান করলেন। এ দুর্গের চেয়ে অধিক খাদ্য দ্রব্য এবং চর্বি খয়বরের অন্য কোন দুর্গে ছিলো না।দোয়া করার পর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদেরকে এ দুর্গের...
সায়াব ইবনে মোয়ায দূর্গ জয়তৃতীয় দিনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দুর্গ জয়ের জন্যে বিশেষভাবে দোয়া করেন। ইবনে ইসহাক বর্ণনা করেছেন যে, আসলাম গোত্রের শাখা বনু ছাহামের লোকেরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে হাযির হয়ে আরজ করলো যে,...
সংঘাতের সূচনা এবং নায়েম দুর্গ বিজয়আল্লাহর রসূল বললেন, না বরং তোমার পুত্র তাকে হত্যা করবে। অবশেষে হযরত যোবায়ের (রা.) ইয়াসেরকে হত্যা করলেন। এরপর হেছনে নায়েমের কাছে তুমুল যুদ্ধ হলো। অন্য ইহুদীরা মুসলমানদের মোকাবেলায় সাহসী হলো না। কোন কোন গ্রন্থে উল্লেখ...
সংঘাতের সূচনা এবং নায়েম দুর্গ বিজয়হযরত আলী (রা.) মারহাবের ঘাড় লক্ষ্য করে এমন আঘাত করলেন যে, কমিনা ইহুদী সেখানেই শেষ হলো। হযরত আলীর (রা.) হাতেই বিজয় অর্জিত হলো।যুদ্ধের সময় হযরত আলী (রা.) ইহুদীদের একটি দুর্গের কাছে গেলে একজন ইহুদী দুর্গের...
সংঘাতের সূচনা এবং নায়েম দুর্গ বিজয়মারহাবের শানিত তলোয়ার আমার চাচা আমেরের ঢালের ওপর আঘাত করলো। ইহুদী মারহাবকেও আমার চাচা নিচের দিকে আঘাত করতে চাইলেন কিন্তু তার তলোয়াড় ছিল ছোট। তিনি মারহাবের উরুতে আঘাত করতে চাইলে তলোয়াড় ধাক্কা খেয়ে তাঁর নিজের...
সংঘাতের সূচনা এবং নায়েম দুর্গ বিজয়তার কন্ঠে ছিলো স্পর্ধিত আবৃত্তিসম্বলিত এ কবিতা,‘খয়বর জানে মারহাব আমিঅস্ত্র সাজে সজ্জিত অনন্য আমি বীর রণকৌশলেঅভিজ্ঞতা কাজে লাগাই যুদ্ধের আগুন উঠলে জ্বলে।’তা মোকাবেলায় আমার চাচা হযরত আমের (রা.) এগিয়ে গেলেন। তিনি আবৃত্তি করলেন,‘খয়বর জানে আমার...
সংঘাতের সূচনা এবং নায়েম দুর্গ বিজয়উল্লেখিত আটটি দুর্গের মধ্যে প্রথমে নায়েম দুর্গের ওপর হামলা করা হয়। এ সকল দুর্গ অবস্থান এবং কৌশলগত দিক থেকে ইহুদীদের প্রথম লাইনের প্রতিরক্ষাব্যুহ হিসেবে বিবেচিত হতো। এ দুর্গের মালিক ছিলো মারহাব নামে এক দুর্ধর্ষ ইহুদী।...
যুদ্ধের প্রস্তুতি এবং খয়বরের দুর্গএরপর হযরত আলীকে (রা.) পতাকা প্রদান করা হয়। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল, আমি ওদের সাথে ততক্ষণ পর্যন্ত লড়ব, যতক্ষণ তারা আমাদের মত হয়ে যায়। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, নিশ্চিন্তে যাও, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের...
যুদ্ধের প্রস্তুতি এবং খয়বরের দুর্গখয়বরের সীমানায় যে রাতে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রবেশ করেছিলেন, সে রাতে তিনি বললেন, আমি আগামীকাল এমন এক ব্যক্তির হাতে পতাকা দেব যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা এবং তাঁর রসূলকে ভালোবাসে এবং তার রসূলও তাকে ভালোবাসেন।...
খয়বরের উপকন্ঠে ইসলামী বাহিনীএরপর তিনি আল্লাহ রব্বুল আলামীনের দরবারে এ মোনাজাত করলেন যে আল্লাহ তায়ালা, তুমি সাত আসমান এবং যেসব জিনিসের ওপর সেই আকাশসমূহ ছায়া বিস্তার করে রয়েছে, সেসব কিছুর প্রতিপালক। সাত জমিন এবং তার উপরে নিচে যা কিছু রয়েছে,...
খয়বরের উপকন্ঠে ইসলামী বাহিনীফলে তারা তাদের কৌশল আমাদের ওপর প্রয়োগ করতে পারবে, তাদের নিক্ষিপ্ত তীর আমাদের কাছে পৌঁছবে অথচ আমাদের নিক্ষিপ্ত তীর তাদের কাছে পৌঁছবে না। রাতের বেলা তারা আমাদের ওপর আকস্মিক হামলা চালাতে পারে, এ আশঙ্কাও পুরোপুরি থেকে যাবে।...
খয়বরের উপকন্ঠে ইসলামী বাহিনীএই অবস্থা দেখে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহু আকবার, খয়বর বরবাদ হয়েছে, আল্লাহু আকবার, খয়বর বরবাদ হয়েছে। আমরা যখন কোন কওমের ময়দানে নেমে পড়ি, তখন কওমের ভয়ার্ত লোকদের সকাল মন্দ হয়ে যায়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি...
খয়বরের উপকন্ঠে ইসলামী বাহিনীখয়বরের অধিবাসীদের অনেকেই কাঁধে কোদাল নিয়ে খেতে খামারে কাজ করতে বেরিয়েছিলো। হঠাৎ মুসলিম সেনাদের দেখে চিৎকার করে পালাতে লাগলো। চিৎকার করে করে তারা বলছিলো, খোদার কসম, মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সসৈন্যে হাজির হয়েছেন। এই অবস্থা দেখে...
পথের কতিপয় ঘটনাতারপর তিনি নিজে আহার করলেন এবং সাহাবাদেরও খেতে দিলেন। আহারের পর মাগরেবের নামাযের জন্যে উঠলেন। সে সময় তিনি নতুন করে ওজু করলেন না, শুধু কুলি করলেন। সাহাবারাও তাই করলেন। এরপর তিনি এশার নামায আদায় করলেন।খয়বরের উপকন্ঠে ইসলামী বাহিনীযুদ্ধ...
পথের কতিপয় ঘটনারসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই কবিতা শুনে কবির পরিচয় জানতে চাইলেন। তাঁকে জানানো হলো যে, তিনি আমের ইবনে আকওয়া। আল্লাহর রসূল বললেন, আল্লাহ তায়ালা তাকে রহমত করুন। একজন সাহাবা মন্তব্য করলেন, এবার তো আমেরের শাহাদাত অনিবার্য। কিন্তু...
পথের কতিপয় ঘটনাএক) হযরত সালমা ইবনে আকওয়া (রা.) বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে খয়বর রওয়ানা হয়েছি। রাত্রিকালে সফরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একজন লোক এসে আমেরকে বললেন, আমের, কিছু শোনাও তো। আমের ছিলেন কবি। তিনি সওয়ারী থেকে...
পথের অবস্থার বিবরণএরুপ অবস্থায় বনু গাতফান এবং ইহুদীদের মাঝখানে মুসলমানরা থাকবেন এবং বনু গাতফানের সাহায্য এলেও তা ইহুদীদের কাছে পৌঁছতে পারবে না। একজন পথপ্রদর্শক বললো, হে আল্লাহর রসূল, আপনাকে আমি আপনার ঈপ্সিত পথেই নিয়ে যাব। সেই পথ প্রদর্শক আগে আগে...
পথের অবস্থার বিবরণরাজিঈ থেকে বনু গাতফান গোত্রের বসতি এলাকা একদিন ও এক রাতের পথের দূরত্বে অবস্থিত। বনু গাতফান ইহুদীদের ডাকে সাড়া দিয়ে খয়বরের পথে রওয়ানা হয়েছিলো। তারা চলে আসার পর পেছনের দিকে শোরগোল শোনা গেলো। তারা ভেবেছিলো যে, মুসলমানরা তাদের...
ইসলামী সৈন্যদের সংখ্যাবনু গাতফান গোত্র ছিলো খয়বারের ইহুদীদের মিত্র এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে মিত্রদের মদদগার। ইহুদীরা বনু গাতফানকে এ ধরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলো যে, মুসলমানদের ওপর জয়লাভে সক্ষম হলে খয়বারের মোট উৎপাদনের অর্ধেক বনু গাতফানকে দেয়া হবে। পথের অবস্থার বিবরণরসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি...
ইসলামী সৈন্যদের সংখ্যারসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদের সাথে আলোচনা করে আবু হোরায়রা এবং তাঁর সঙ্গীদেরও গণীমতের অংশ দিলেন। ইহুদীদের জন্য মোনাফেকদের তৎপরতাএ সময়ে ইহুদীদের সাহায্যার্থে মোনাফেকরা যথেষ্ট ছোটাছুটি করেছে। মোনাফেক নেতা আবদুল্লাহ ইবনে উবাই আগেই খয়বরে খবর পাঠিয়েছিলো যে,...
ইসলামী সৈন্যদের সংখ্যাএ ঘোষণার ফলে শুধুমাত্র যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলো, যারা হোদায়বিয়ার গাছের নীচে বাইয়াতে রেযোয়ানে অংশ নিয়েছিলো। এদের সংখ্যা ছিলো চৌদ্দশত। এ অভিযানের সময় মদীনায় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছাবা ইবনে আরফাতা গেফারীরর ওপর ন্যস্ত করা হয়েছিল। অন্যদিকে ইবনে ইসহাক বলেছেন, নুমাইলা...
ইসলামী সৈন্যদের সংখ্যামোনাফেক এবং দুর্বল ঈমানের অধিকারী লোকেরা হোদায়বিয়ার সফরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে না গিয়ে নিজেদের ঘরে বসে থাকে। এ কারণে আল্লাহ রব্বুল আলামীন তাঁর রসূলকে সে সম্পর্কে আদেশ দিয়ে বলেন, ‘তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য...